মার্কেট নিয়ে আমাদের বেশ ভুল ধারণা আছে । আমরা যারা ফেবুর সাধারণ জনগণ , যখন এই ভুল ধারণা পোষণ ও ব্যাক্ত করি তখন তা ঠিক থাকলেও , যখন ফেবুর Opinion Leader কারো কাছ থেকে এই কথা শুনি তখন ব্যাথিত হই। কি কথা শুনে ব্যাথিত হই? যখন এই Opinion Leader দের কাছ থেকে গ্যাম্লার বা মামু বা এই জাতীয় কিছু শুনি তখন ব্যাথিত হই।
ব্যাথিত হবোনা কেনো!! কিছু মিথ আমাদের মনের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে !!
মামু বা গ্যাম্লার বলতে আমরা কি বুঝি ? আমরা বুঝি , তাদের কখনো লস হয় না ; তারা টাকার বস্তা নিয়ে বসে থাকে এবং ইচ্ছা করলেই সাপ্লাই বা ডিমানেডের কমবেশি করে প্রাইজ যেকোনো ডাইরেকশানে নিয়ে যেতে পারে !!!!
এতই সহজ!!! হ্যা , মার্কেটে ইন্সটিটিউশনাল টাকা আছে , অনেক বড় বড় পার্টি আছে । তারা শেয়ার প্রাইজ ম্যানুপুলেট করে । কিন্তু তারা এই কাজ আমাদের চোখের সামনে দিয়েই করে । আমাদের মনে রাখতে হবে , এই মামু বা গ্যাম্লার বা স্মার্ট মানি যে নামেই ডাকেন না কেন , তারা সুনির্দিষ্ট কোন institutional investors বা বস্তা বস্তা টাকা নিয়ে বসে থাকা বড় কোন পার্টি না । বাস্তবত হোল institutional investor বা বড় পার্টিরাও কখন জিতে , কখন হারে। আসলে শেয়ার ব্যবসা হোল numbers game. সহজ উদাহরণ দেই , যখন লঙ্কা বাংলা , ডিবিএইচ কে টেক্কা দেয় তখন লঙ্কা বাংলা হয় মামু বা গ্যাম্লার বা স্মার্ট মানি আর ডিবিএইচ হয় মদন বা ডাম্প মানি... ভাইস ভার্সা।
আগেই বলেছি শেয়ার ব্যাবসা numbers game । কখনো জিতবেন কখনো হারবেন , তবে এই স্মার্ট মানির জিতার হার তুলনা মূলক বেশী । তারা অনেক শিক্ষিত আর ম্যাচুউর। যে কোন শেয়ারেরই যখন উত্থান পতন হয় , তখন সেখানে দুটি বড় পার্টির ইনভলমেন্ট থাকে । এক পক্ষ জিতবে আর এক পক্ষ হারবে। তবে মজার ব্যাপার হোল কখনো কখনো তিন নাম্বার পার্টি এসে এই দুই পক্ষের হিসাব নিকাস সব বদলে দেয়।
আমাদের চেষ্টা করা উচিৎ এই দুই দলের মধ্যে জিতা পার্টির সাথে থাকের চেষ্টা করা। তারা অনেক চিহ্ন রেখে যায় , ট্রেন্ড লাইন , সাপোর্ট , রেজিস্টেন্স, ক্যান্ডেল সেন্টিমেন্ট , ভলিউম ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমি আপনাদের দেখানোর চেষ্টা করবো কিভাবে "জিতা মামুর" সাথে থাকা যায় । শেয়ার বযবসায় গ্যারান্টি কোথাও নাই তবে কিছু কিছু চেষ্টার মাধ্যমে জিতে যাবার সম্ভাবনা বাড়িয়ে নেয়া যায়।
আমরা টেক_____ এটা একটা উদাহরণ মাত্র___ বর্তমানে এমন অনেক শেয়ার আছে।
আমরাটেকের একুমুলেসান শুরু করে " মামুরা " ২০১৬ সালের মার্চে। চার্টে দেখেন একুমুলেসান দেখানো হয়েছ চ্যানেল দিয়ে । চ্যানেলের মধ্যে কোথাও কোথাও দেখেন অস্বাভিক ভলিউম , নয়/ দশ গুণ । এই কেনা ছিল মামুদের । খেয়াল করে দেখবেন "মামুরা" যেদিন হাই ভলিউমে শেয়ার কিনেছে সেদিন আমরাটেক যে দামে ওপেন হয়েছিল পরবর্তিতে সেই দামের নিচে আর নামেনি। ___ "মামুরা" তাদের পদচিহ্ন কিন্তু একুমুলেসান জোনে রেখে যাচ্ছিল____ "মামুরা" একটা নির্দিষ্ট প্রাইজ ধরে রাখল এই প্রাইজের নিচে নামার আগেই কেনে আবার নির্দিষ্ট দামের উপরে উঠতে ও দিচ্ছিল না।
এইবার আসুন মুল খেলায় , শেয়ারটির ভাসমান সব শেয়ার যখন মামুর ঝুড়িতে চলে আসলো তখন আর "মামুর" কোন কাজ নাই । আমরা সাধারণ পাবলিকই "মামুর" কাজ করে দেই , কিভাবে ? "মামু" শুধু শেয়ার এর সাপ্লাই বন্দ করে সামান্য একটু ডিমান্ড বাড়ালো , যারা "মামুর" সাথেসাথে অল্প রেটে শেয়ারটি কিনেছিল একুমুলেসান জোনে রেজিস্টেন্স লেভেলে তাদের সেল বসানো ছিলো , তাদের শেয়ার গুলি "মামুর" ঝুড়িতে আসার পরেও যখন দাম বাড়তে থাকলো তখন গোটা মার্কে্ট শেয়ারটির উপরে ঝাপিয়ে পড়ে। "মামু" তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে সাধারণ পাব্লিক ষাড়ের পীঠে চড়ে দাম কেমন উপরের দিকে নিয়ে যায়। ___ এই একুমুলেসান জোনে "মামু" আরো কিছু কৌশল নিয়েছিলো , যা এই স্বল্প পরিসরে আলোচনা করা সম্ভব না ...... এটি নিয়ে একটা ভিডিও এনালাইসিস দিলে অধিক ভালো হত__
২০১৬ সালের ডিসেম্বর মামুর মনে হল এবার হাতে থাকা কিছু শেয়ার বিক্রি করা দরকার। কিন্তু যে পরিমাণ শেয়ার তাদের কাছে আছে একবারে ছাড়তে গেলে আমরাটেক এক কথায় ক্রাশ করবে। দেখেন লক্ষ করে ডিসেম্বরে একবার ডবল টপ হল কিন্তু দ্বিতীয় টপে কি ভলিউম বাড়লো?? বরং বেয়ারিস ভলিউম দ্বিতীয় টপে বেশী। পরিস্কার সিগন্যাল ছিল শেয়ারটি দুর্বল হয়ে পড়ছে মোমেন্টাম হারাচ্ছে।
তার পরেও জানুয়ারিতে কোন যুক্তিতে আমরা এন্ট্রি দিবো?! যেখানে শেয়ার টির বুলিস ডিমান্ড ক্রমেই কমে যাচ্ছে। জানুয়ারির ১৬ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত ক্রিত্তিম চাহিদা তৈরি করে ২৩ থেকে ২৬ তারিখে তারা ব্যাপক শেয়ার ডাম্প মানির (ভাগ্না) হাতে ধরিয়ে দেয়।
কিন্তু শেয়ারটির খেলা শেষ হয়নি___ হয় তাদের হাতে থাকা সব শেয়ার বিক্রি করতে পারেনি অথবা তৃতীয় কোন পক্ষের আগমন ঘটে। এই কারণে আমরা শেয়ারটির মুল বুলিশ লেগের ৫০% ফিব রিট্রেস্মেন্ট এর বেশী নামতে দেখিনি । আবার একুমুলেসান শুরু হয়। যদি প্রথম পক্ষ হাতের সব শেয়ার বিক্রি না করে থাকে তবে এইবার একুমুলেসান হবে সংক্ষিপ্ত । তবে তৃতীয় পক্ষ ইনভল্ভ হলে একুনুলেসান আর একটু দির্ঘায়িত হবে।
মার্চের ২৩ তারিখে আবার অতি অস্বাভাবিক একটা ভলিউম আমরা দেখি। কি মনে হয় সাধারণ পাব্লিকে কিনেছে? ___ নাহঃ , হতেই পারে না মামুদের পদচিহ্ন। ৩৩.৪০ থেকে ৩৪.৭০ লেভেলে বাই ছিল । এই ৩৩.৪০ খুব ইম্পর্টেন্ট লেভেল এখন আমরা টেকের জন্য । আমরা কিন্তু আবার ৩৩.৪০ এর নিচে দাম নেমে যেতে দেখি কিন্তু ভলিউম এতো অল্প যে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে এটি সাধারণ পাব্লিকের। আবার ৩৫ থেকে ৩৭ লেভেলে গত দিন ব্যাপক ভলিউম দেখতে পাই । এটাও মামুদের ভলিউম। কিন্তু গত ডিসেম্বরে এই লেভেলেই মামুরা ব্যাপক শেয়ার ডাম্প মানির হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল ___ মামুদের এখন এই ভলিউম অ্যাাজর্ভ করতে হবে। এই কারণে এতো ব্যাপক ভলিউম থাকা স্বত্তেও শেয়ার টি হল্ট্রেড হয়নি। এখন মামুদের যদি শক্ত অবস্থান থাকে এই শেয়ার তবে ৩৩.৪০ এর নিচে নামা উচিৎ হবে না। তবে ২৩ তারিখের ভলিউমের দিন ক্লোজ প্রাইজ ৩৪.৭০ প্রাথমিক রেজিস্টেন্স হবে। ___ আমি আশাবাদী___ আল্লাহ্ ভরসা
No comments:
Post a Comment