Sunday, November 6, 2016

Drawbacks Of Relative Strength Index (RSI)





আরএসআই RSI এর সীমাবদ্ধতা___


 টেকনিক্যাল এনালাসিইস সম্পর্কে নূন্যতম ধারনা আছে এমন প্রায় সবার কাছেই আরএসআই খুবই পরিচিত একটা শব্দ। সাধারন ভাবে আমরা জানি ৩০ এর আশেপাশে  থাকলে বা নিচে থাকলে ওভার সোল্ড   কিনতে হবে এবং ৭০ এর কাছাকাছি থাকলে ওভার বট  এখন আর কেনা যাবে না।   যারা আর একটু এনালাইসিস  বুঝেন তারা হয়ত নেগেটিভ বা পজেটিভ ডাইভারজেন্স খুজেন। আরএসআই খুবই কার্যকারি একটা টুল নিঃসন্দেহে, যারা সুইং ট্রেড করতে চান তারা ট্রেন্ড লাইন আর প্রাইস প্যাটার্নের সাথে আরএসআই মিলাতে পারলে চমৎকার ফল পাবেন। ওভার সোল্ড বা ওভার বট লেভেলে ডাইভারজেন্স দেখে আমরা বুঝতে পারি শেয়ারটি গতি হারাচ্ছে বা গতি পাচ্ছে। মজার ব্যাপার হল অনেক সময় দাম বাড়ার আগেই গতির সঞ্চার হতে পারে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে আরএসআই দিয়ে আমরা অনেক বিষয়ই প্রাইস মুভমেন্টের আগেই কিছুটা আঁচ করতে পারি।  


আজ আমি আরএসআই এর কিছু সীমাবদ্ধতা তুলে ধরবো। যদি আরএসআই সম্পর্কে আপনার সঠিক ধারনা না থাকে তবে অনেক ক্ষেত্রেই এই ইন্ডিকেটর আপনাকে বোকা বানিয়ে ফেলবে। প্রথমত আরএসআই ট্রেন্ড ফলইং ইন্ডিকেটর না। তাই যখনই কোন একটা শেয়ার স্ট্রং ট্রেন্ডে যায় আরএসআই অনেক ক্ষেত্রেই তার গুরুত্ত্ব হারিয়ে ফেলে। আমাদের মাথার মধ্যে ঢুকে আছে ৭০ হল অভার বট তাই ৭০ পার হলেই সাইকোলজিক্যালি  আমরা দুর্বল হয়ে পড়ি বা ৩০ এর নিচে নামলেই আমরা একটা শেয়ার কেনার জন্য মানুষিক প্রস্তুতি নিতে থাকি। 


এই সমস্ত সীমাবদ্ধতা স্বত্তেও আরএসআই এর গুরুত্ত্ব অনেক । আমি আরএসআই নিয়ে কোন নেতিবাচক লেখা লিখছিনা। আমি ব্যাক্তিগতভাবে হরহামেশাইই আরএসআই ব্যবহার করি। কিন্তু এর সীমাবদ্ধতা জানা থাকলে আপনি এর থেকে আরো উপক্রত হতে পারবেন। টেকনিক্যাল এনালাইসিস একই সাথে যেমন শিল্প অন্যদিকে বিজ্ঞান। একজন ভালো এনালিষ্ট হতে হলে যে টুল আপনি ব্যবহার করছেন তার ব্যাপারে আপনাকে মাস্টার হতে হবে ;  এমন যেনো না হয় আপনি আপনার টুলের দাস হয়ে গেলেন।


@@@চলুন দেখে নেই আরএসআই এর কয়েকটি মারাতঙ্ক সীমাবদ্ধতা ___



* কোন একটা শেয়ার এর ট্রেন্ড শুরুর দিকেই আরএসআই ওভার বট হয়ে যেতে পারে এবং এই অবস্থায় অর্থাৎ ৭০ এর উপরে দির্ঘ সময় থাকতে পারে। তাই স্ট্রং আপ বা ডাউন ট্রেন্ডে আরএসআই ৭০ বা ৩০ লেভেলে নেমে আসতে পারে। আপনি আরএসআই ৭০ দেখে মনস্তাত্ত্বিক ভাবে দুর্বল হয়ে হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে পরে দেখলেন আরএসআই আপনাকে বোক বানিয়েছে বা ঘটতে পারে উল্টা চিত্র। মনে রাখবেন আরএসআই ওভার বট বা ওভার সোল্ড অবস্থায় সপ্তাহ এমন কি মাসও থাকতে পারে। 


* ডাইভারজেন্স এর  ক্ষেত্রে লক্ষ রাখবেন স্ট্রং ট্রেন্ডে ডাইভারজেন্স একটা নিত্য বিষয়। তাই ডাইভারজেন্স দেখে যারা ট্রেড করেন তারা লক্ষ রাখুন সাপোর্ট রেজিস্টেনশ বা প্রাইস প্যাটার্নের দিকে। 


*আরএসআই এ ফেলিউর সুইং বেশ কার্যকরি  । আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি ফেলিউর সুইং  বেশিরভাগ সময়ই কাজ করে। তবে কখনো  কখনো এই ফেলিউর সুইং  রিভার্সড করে এবং আরএসআই তার পূর্বের পথে ফিরে যায়। 


*প্রাইসের ভলিটিলিটি না থাকলে আরএসআই এর কোন গুরুত্বই থাকে না। আপনাকে যেমন পথ ভ্রস্ট করবে না তেমনি পথের সন্ধানও দিবে না। 



মনে রাখবেন আরএসআই একটা ইন্ডিকেটর , মেকানিকাল ইন্ডিকেটর যার হিসাব গানিতিক। আপনাকে আরএসআই অনেক ভাবে সাহায্য করবে , কিন্তু বিভ্রান্ত করতেও ছাড়বে না। আগেই বলেছি টেকনিক্যাল এনালাইসিস যতটুকু বিজ্ঞান ততটুকুই শিল্প। তাই শুধু গানিতিক হিসাব দিয়ে এখানে কাজ না করাই শ্রেয়। নিজের সৃজনশীলতা   কাজে লাগাবেন সব সময়। টেকনিক্যাল এনালিসি অনুধাবন করুন প্যাক্টিসের মাধ্যমে।  ধন্যবাদ 

No comments:

Post a Comment